মেহেরপুরের গাংনীতে মাটির ঘর থেকে ২১ টি বাচ্চাসহ মারা হলো ২২ টি সাপ

মেহেরপুরের গাংনীতে মাটির ঘর থেকে ২১ টি বাচ্চাসহ মারা হলো ২২ টি সাপ

কর্তৃক Kausar gangni


অগ্নিপথ : মেহেরপুরের গাংনীতে এখন প্রায় দিনই দেখা মেলছে বৃষ্টির। বৃষ্টিতে যেমন পুকুর,খাল-বিল ও বাড়ির পাশের ছোট ছোট পুকুরগুলোতে অল্প অল্প করে পানি জমতে শুরু করেছে তেমনি বাড়তেও শুরু করেছে সাপ আতঙ্ক।এখন গাংনীতে প্রায় শোনা যায় লোকজনকে সাপে কাটছে।বিভিন্ন জায়গায় মারা হচ্ছে সাপ। গতকাল উপজেলার চককল্যানপুর গ্রামের সোনাভানুর ঘরে মা সাপসহ ২২ টি পদ্মগোখরো মারা হয়। গতকাল শুক্রবার দুপুরে গাংনী উপজেলার তেঁতুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের চককল্যানপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় প্রতিবছরই  সোনাভানুর ঘর থেকে সাপ মারা হয়।ঘরটি দীর্ঘদিনের পুরাতন ও মাটির হওয়ায় অনেক গর্ত থাকার কারণে সাপ এখানে বসবাস করে।গতকাল মা সাপসহ ২২ টি সাপ মারা হয়। এতে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।তাছাড়া গাংনীতে দিন দিন সাপ আতঙ্ক বৃদ্ধি পাচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা নকিম উদ্দিন বলেন,পদ্মগোখরো সাপ অত্যন্ত বিষধর।চারিদিকে সাপ আতঙ্ক বিরাজ করছে। তাই সকলকে সচেতন থাকতে হবে।তাছাড়া সাপে কেটে অনেক সময় মৃত্যুর সংবাদ শুনতে পায়।তাই বাড়ির পাশের আঙ্গিনা সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
বাড়ির মালিক সোনাভানুর ছেলে বাবর আলী বলেন,গতকাল শুক্রবার আমার মায়েরর মাটির ঘরে কয়েকটা সাপের বাচ্চা দেখা যায় এরপর ঘর খুঁড়তে খুঁড়তে মা সাপ সহ ২২টি সাপ মারা হয়।প্রায় প্রতিবছরই আমার মায়ের ঘরে কয়েকটা করে সাপ মারা হয়। তবে এবারই সর্বোচ্চ ২২ টি সাপ মারা হলো।এখন বর্ষা মৌসুম সাপের আতঙ্ক বিরাজ করছে তাই সকলকে সাবধান থাকতে হবে।
বাড়ির মালিক সোনাভানু খাতুন বলেন,গতকাল শুক্রবার দুপুরে আমি ঘরে বসে আছি এসময় একটি সাপ আমার পায়ের তল দিয়ে বেরিয়ে যায়।তখনই আমি লোকজনকে ডাকি।লোকজন এসে ঘর খুঁড়তে থাকে একে একে বেরিয়ে আসে, মা সাপসহ ২২ টি পদ্মগোখরো।এর মধ্যে একটি মা সাপ ও ২১টি বাচ্চা ছিল।

আমার পুরো ঘর খুড়ে ফেলা হয়।আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়ে দিয়েছে।ঘরে এতগুলো সাপ আমাকে কখনো সাপে কাটেনি। আল্লাহর হুকুম ছাড়া সাপ মানুষকে সাপে কাটে না।
তিনি আরও বলেন,আমার ভিতরে এখনো সাপের আতঙ্ক কাজ করছে।এখনো ভয় ভয় লাগছে।গতরাত সাপের ভয়ে কেটেছে।প্রায় প্রতিদিনই বৃষ্টি হচ্ছে।বৃষ্টি হওয়ার কারণে সাপ এখন ঘরে উঠছে তাই সকলকে সচেতন থাকার জন্য অনুরোধ করছি।
এব্যাপারে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার সুপ্রভা রানী জানান, সাপে কাটার পর অধিকাংশ পরিবারের সদস্যরা কবিরাজের কাছে নিয়ে ঝাঁড়ফুক করে সময় নষ্ট করেন। ফলে সচেতনতার অভাবে সাপের কামড়ে রোগী মারা যায়।সাপে কামড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে রোগীকে হাসপাতালে নিতে হবে।

রিলেটেড পোস্ট

মতামত দিন