কৃষি অফিসার ইমরান হোসেন ও ডিডি বিজয় কৃষ্ণ হালদারের দূর্নীতির বিরুদ্ধে কৃষকদের মানববন্ধন

কৃষি অফিসার ইমরান হোসেন ও ডিডি বিজয় কৃষ্ণ হালদারের দূর্নীতির বিরুদ্ধে কৃষকদের মানববন্ধন

কর্তৃক Kausar gangni

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা কৃষি অফিসার ইমরান হোসেন ও মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদারের দূর্নীতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে গাংনী উপজেলার সর্বস্থরের ক্ষতিস্তরের কৃষকবৃন্দ। কামরুল ইসলাম নামের একজনের কৃষকের স্বাক্ষরিত প্রেস নোটের মাধ্যমে জানতে পারি, পারিবারিক পুষ্টি বাগান, যশোর অঞ্চলের টেকসই প্রকল্পের ফল বাগান ও বিভিন্ন পার্টনার প্রকল্পের প্রদর্শনী প্লট, কৃষি প্রনোদনা সহ নানা সহযোগিতা দিয়ে থাকে। কিন্তু গাংনী উপজেলা কৃষি অফিসার ইমরান হোসেন যোগদানের পর থেকে কোথায়  বাস্তবায়ন না করে লুটপাট শুরু করেছে।তার নামে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদারের কাছে অভিযোগ দিলেও কর্নপাত করেনি।কৃষি অফিসারের তদারকি না থাকা ও ডিলারদের কাছ থেকে সুবিধা নেওয়ার কারনে নায্যমূল্যে সার পাওয়া যাচ্ছেনা। ষোলটাকা ইউনিয়নের বিসিআইসি ডিলার মোঃ শহিদুল ইসলাম সহ উপজেলার সকল ডিলার মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদার ও কৃষি অফিসার ইমরান হোসেনের সহযোগিতায় দীর্ঘদিন ধরে বাংলা টি এস পি সার সরকার কর্তৃক নির্ধারিত প্রতি বস্তার মূল্য ১৩৫০ টাকা হলেও নেয়া হয় ২৩০০  টাকা। আবার বাংলা ডিএপি ১৩৫০ টাকার স্থলে ১৬৫০ টাকা থেকে ১৮৫০ টা এবং এম ও পি সার ১০০০ টাকার স্থলে ১২০০ থেকে ১২৫০ টাকায় বিক্রয় করে থাকে। ক্রয় ভাউছার চাইলে সার বিক্রি হবেনা বলে জানিয়ে দেন।এছাড়াও একই পরিবারের মধ্যে একাধিক বিসিআইসি ও বিএডিসি লাইসেন্স থাকার কারনে গাংনী উপজেলায় বরাদ্দকৃত সার জেলার বাইরে বেশি দামে বিক্রয় করতে পারে ডিডি ও কৃষি অফিসার এর সহযোগিতায়।মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদার তুলা উন্নয়ন বোর্ডের অধিনে থাকা মেহেরপুর জেলার বরাদ্দকৃত অর্ধ কোটি টাকা লোপাট করেছে। অতএব কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদার ও গাংনী কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসেনের দূর্নীতির তদন্ত ও কৃষককে নায্যমূল্যে সার সরবরাহ ও ২০২৩ সালের কৃষি প্রনোদনা সহ সকল প্রনোদনা বিতরন এবং সরকারী বরাদ্দ তালিকা নোটিশ বোর্ডে প্রদর্শন করার দাবি জানায় চাষীরা এবং কৃষকরা  মানববন্ধনে আরোও বলেন  এক সপ্তাহের মধ্যে ব্যবস্থা না নিলে আমরা রাজপথে আন্দোলন করব ।  এ ব্যাপারে গাংনী উপজেলা কৃষি অফিসারের সাথে কথা বললে তিনি জানান, কৃষকদের মানব বন্ধনে করা দাবি মিথ্যা, তবে বাস্তবে তার কথা সাথে সরে জমিনে কোন মিল নেই।কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদার এর কথা হলে তিনি জানান, আমার কাছে কোন চাষী লিখিত অভিযোগ করেনি, আপনার দ্বায়িত্বশীল কোন দতারকি করেন কিনা সাংবাদিকদের এ প্রশ্নশুনে তিনি মোবাইল কেটে দেন।

মতামত দিন