অগ্নিপথ নিউজ ডেস্কঃ
পৃথিবীর সবচেয়ে মধুর ডাক মা। ছোট্ট এই শব্দের তুলনা হয় না। মা ডাকের সাথে লুকিয়া থাকে অফুরন্ত স্নেহ, মায়া, মমতা, ভালোবাসা। শিশুকাল থেকেই আনন্দ-বেদনা, হাসি- কান্না, প্রতিটি অনুভূতিতে জড়িয়ে থাকে মা শব্দটি। বিশ্বব্যাপী মে মাসের দ্বিতীয় রবিবার মা দিবস পালন করা হয়ে থাকে। মা দিবসের শুরুটা হয়েছিল প্রাচীন গ্রিসের আরাধনা কোথা থেকেই তবে ১৯০৮ সাল থেকেই আধুনিক উদযাপনের ইতিহাস খুঁজে পাওয়া যায়।
আমেরিকায় নারীদের স্বাস্থ্যরক্ষায় গুরুত্ব নিয়ে কাজ করতেন মার্কিন সমাজকর্মী আনা রিভিজ জার্ভিস ও তার মেয়ে আনা মেরি জার্ভিস। তাদের কাজের মূল বিষয়ই ছিল পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্যরক্ষার প্রচার ও সচেতনতা বৃদ্ধি। এরইমধ্যে ১৯০৫ সালে মারা যান মা। সার্বক্ষণিক সঙ্গী ও সব কাজের প্রেরণাদাত্রী মাকে হারানোর পর আনা জার্ভিস উপলব্ধি করেন যে, সকল মায়ের প্রতি সম্মান জানানো দরকার। তার প্রচেষ্টায় ১৯০৮ সালে ভার্জিনিয়া ও পেনসিলভানিয়ার কিছু গির্জায় প্রথম মা দিবস পালিত হয়। এরপর দিবসটির স্বীকৃতি পেতে আনা ছয় বছর আন্দোলন করেন।
১৯১৪ সালে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন মে মাসের দ্বিতীয় রোববারকে ‘জাতীয় মা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেন। এই দিনটিকে সরকারি ছুটির দিন হিসেবেও ঘোষণা করা হয়। তবে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দিবসটি বাণিজ্যিক হয়ে ওঠায় আনা জার্ভিস দিনটির বিরোধীতা শুরু করেন।
মা দিবস আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পায় ১৯৬২ সালে। এখন বিশ্বের প্রায় ১০০টি দেশে মা দিবস পালিত হয়। যদিও বিভিন্ন দেশে মা দিবস পালনের তারিখ ভিন্ন, তবে মে মাসের দ্বিতীয় রোববারে সবচেয়ে বেশি পালন করা হয়।