অগ্নিপথঃ মেহেরপুরের গাংনীতে উৎপাদিত মরিচ বাজারে আসা শুরু হলেও চাষীদের মুখে নেই কোন হাসি। চলতি মৌসুমে প্রখর তাপদাহ ও অনাবৃষ্টির কারণে মরিচ উৎপাদনব্যাহত হয়েছে। কাঁচা মরিচ এক প্রকারের ফল যা মসলা হিসাবে ঝাল স্বাদের জন্য রান্নায় ব্যবহার করা হয়। শুধু যে খাবার সুস্বাদু করে তা নয়, এই মরিচে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ।পাতে কাঁচা মরিচ ছাড়া অনেক বাঙালির খাওয়াই হয় না। কিন্তু কাঁচা মরিচের ব্যবহার কি কেবল রান্নায় ঝাল আর সুগন্ধ বাড়ানোর জন্য? তা নয়। এই কাঁচা মরিচ ভিটামিনের এক চমৎকার উৎস। রয়েছে নানা পুষ্টিগুণও। আধা কাপ পরিমাণ কুচি কাঁচা মরিচে প্রায় ৮০০ ইউনিটের বেশি ভিটামিন এ রয়েছে। আর ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তির জন্য ভালো, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। সমপরিমাণ কাঁচা মরিচ কুচিতে পাবেন প্রায় ১৮২ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি, যা একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দৈনিক ভিটামিন সির চাহিদার সমান। তার মানে আধা কাপ কাঁচা মরিচ সালাদে বা অন্যান্য তরকারিতে ছড়িয়ে দিলে আপনার অন্য কোনো ভিটামিন সিযুক্ত খাবার দরকারই পড়বে না।
তবে গবেষকেরা বলছেন, কাঁচা মরিচের ভিটামিন সি তাপ, অতিরিক্ত আলো ও বাতাসের কারণে একটু একটু করে হারায়। তাই তাজা কাঁচা মরিচ না খেতে পারলে তা ঠান্ডা ও অন্ধকার জায়গায় সংরক্ষণ করুন। এ জন্য বাজার থেকে আনা তাজা কাঁচা মরিচ জিপার ব্যাগে মুখ আটকে ফ্রিজে রাখুন এবং তিন-চার দিনের মধ্যেই শেষ করতে চেষ্টা করুন। এ ছাড়া ভিটামিন কে রয়েছে এতে।
সব ধরনের মরিচেই আছে ক্যাপসেইসিন নামের একটি উপাদান। এই ক্যাপসেইসিন প্রদাহ কমায়, বাতব্যথা কমায়, ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে। আমেরিকার ইনস্টিটিউট অব ক্যানসার রিসার্চ বলছে, তাজা সবুজ কাঁচা মরিচে যে ক্যাপসেইসিন আছে ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি রোধ করতে পারে। তাই কাঁচা মরিচে কেবল ঝালই নেই, আছে নানা উপকারও।
প্রতিদিন যাদের ভাতের সাথে একটি কাঁচা মরিচ না খেলে চলেই না তাদের জন্য সুখবর হচ্ছে কাঁচা মরিচ স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। মরিচকে ঝাল বানায় এর বিশেষ উপাদান ক্যাপসাইকিন। কাঁচা মরিচ সাধারণত কাঁচা, রান্না কিংবা বিভিন্ন ভাজিতে দিয়ে খাওয়া হয়। এতে আছে ভিটামিন এ, সি, বি-৬, আয়রন, পটাশিয়াম এবং খুবই সামান্য পরিমাণে প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট।
উপাদান গুলো মুখে লালা আনে ফলে খেতে মজা লাগে। এছাড়াও এগুলো ত্বক ও স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।
এ ব্যাপারে একাধিক মরিচ চাষীর সাথে কথা হলে তারা জানান অনাবৃষ্টি এবং তীব্র তাপদাহের কারণে এ বছরে উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে নির্দিষ্ট সময় মরিচ বাজারে বিক্রয় করা সম্ভব হয়নি। আবার এখন বাজারে মরিচ উঠলেও তাতে দাম নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে চাষীরা।
তারা জানান, বাজারে সকল প্রকার দ্রব্য মূল্য দাম বেশি হওয়ার কারনে তাদের উৎপাদন খরচ বেড়েছে।
এ ব্যাপারে গাংনি উপজেলার এক কৃষি কর্মকর্তার সাথে কথা বলার চেষ্টা করলে তা ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।