অনেকের ত্বকেই অতিরিক্ত আঁচিল দেখা দেয়। নারী-পুরুষ উভয়েরই আঁচিল হওয়ার প্রবণতা থাকতে পারে। তবে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আঁচিল হওয়ার হারও বেড়ে যায় অনেকের। বিশেষ করে মধ্যবয়সের পর আঁচিল হওয়ার প্রবণতা বেশি দেখা যায়।
যদিও এর কারণ হতে পারে ডায়াবেটিস, স্থূলতাসহ নানা ব্যাধির কারণে। আবার জিনগত কারণেও শরীরে আঁচিল দেখা দিতে পারে।
এছাড়া যাদের ওজন খুব বেশি ও গর্ভবতী মায়েদের ক্ষেত্রে অনেক সময় ৪-৫ মাসের দিকে আঁচিলের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
অনেকেই ভয় পান যে, আঁচিল মানেই হয়তো ক্যানসারের লক্ষণ। বিষয়টি মোটেও ঠিক নয়। কারণ সব আঁচিলই যে ক্যানসারের কারণ হবে তা কিন্তু নয়। তবে কেন আঁচিল হয়?
বিশেষজ্ঞদের মতে, ত্বকের বাইরের স্তরে কিছু কোষের অতিরিক্ত বৃদ্ধি হলে আঁচিল তৈরি হয়। আবার ত্বকের দুটি স্তর পরস্পর ঘষা খেলেও অনেক সময় আঁচিল হতে পারে। এ কারণে বগল, চোখের পাতা, কুচকি কিংবা ঘাড়ে ছোট-বড় আঁচিল হতে দেখা যায়।
আবার ডায়াবিটিস কিংবা স্থূলতাও শরীরে অতিরিক্ত আঁচিলের কারণ হতে পারে। শরীরে মেলানিনের উৎপাদন বেড়ে গেলেও আঁচিল হতে পারে। এমনকি সূর্যের তাপে অনেকক্ষণ থাকলে চামড়া পুড়ে যাওয়ার কারণেও আঁচিল হতে পারে।
শরীরে আঁচিল হওয়া কি কোনো রোগের লক্ষণ?
চর্ম বিশেষজ্ঞদের মতে, সাধারণত আঁচিল শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর নয়। তবে দেহের বিভিন্ন স্থানে আঁচিল হলে তা অস্বস্তির কারণ হতে পারে। বিশেষ করে মুখে অত্যধিক আঁচিল সৌন্দর্য অনেকটাই নষ্ট করে দেয়। যদিও আঁচিল হলে তাতে ব্যথা হওয়ার কথা নয়।
তবে যদি দেখেন আঁচিলের চারপাশে ব্যথা হচ্ছে, সেখান থেকে রক্তপাত হচ্ছে কিংবা একই স্থানে একাধিক আঁচিল দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
যদি আঁচিল ক্রমাগত বৃদ্ধি পেতে থাকে তবে তা ত্বকের ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে। সাধারণ মানুষের পক্ষে আঁচিল না ক্যানসার তা বোঝা সহজ নয়। তাই এ বিষয়ে অবহেলা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
সূত্র: এমএসএন